আজ আপার প্রাইমারির অনশনের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলছে। আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় আছে , হয় তাদের চাকরি দিতে হবে না হয় তাদের জেলে নিয়ে যাক তাও কোনো বাঁধা নেই ,কিন্তু তারা তাদের দাবি সরকারের থেকে এবার আদায় করে ছাড়বে। মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীরা করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিল করে তারা তাদের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে। অবশেষে তারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদর দপ্তর এর সামনে।
অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন। শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত ব্যাপারটি আদালতের উপরে চাপিয়ে দিলেন। তিনি বলেন সমস্ত ব্যাপারটা আদালত দেখছে তাই আমাদের এখানে কিছু করার নেই। আদালত থেকে যা রায় দেবে আমাদের তাই মেনে নিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আদালতের রায় দেলে আমরা 10 দিনের মধ্যে যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে দিতে পারি।আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করতেই পারে এবং উনারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার দাবী করতেই পারে কিন্তু আমাদের হাতে কোন কিছু নেই। আদালত যারাই দিবে তাই সরকারকে মানতে হবে তাই যতদিন না পর্যন্ত আদালত থেকে রায় দিচ্ছে ততদিন আমরা কিছুই করতে পারবোনা।
কিন্তু আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের দাবি মিষ্টি কথায় চিড়া ভিজবে না’। সরকারের আগে আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি সরকার রক্ষা করেনি তাই যতদিন না পর্যন্ত সরকার এর কোন একটা ব্যবস্থা করছে ততদিন পর্যন্ত আমরা অনশন থেকে উঠবো না। সরকার চাইলে আপার প্রাইমারি কেস দ্রুত মিটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। প্রার্থীদের দাবি তারা 2013 সালে একবার পরীক্ষা দিয়েছে এবং 2015 সালে আবার পরীক্ষা দিয়েছে দু’বছর ধরে প্রাইমারি নিয়োগ আটকে আছে এতদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা কি করে মুখ বুঝে সহ্য করবে সরকারের এই গাফিলতি। ওকে এবার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানতে হবে না হলে তারা অনশন থেকে উঠবে না এখন দেখার বিষয় সরকার এদের জন্য মানবিকতার ব্যবহার দেখায় কিনা।