রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের জনসাধারণের প্রতি সর্বদাই সদয়। শুধু কথাই নয় কাজেও রাজ্য সরকার রাজ্যের জনগণের প্রতি মায়া ও মমতা দেখিয়েছেন। রাজ্য সরকার রাজ্যের জনসাধারণের উন্নতির জন্য একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন যার মাধ্যমে রাজ্যবাসী প্রচুর সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পেতে চলেছে। রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন জনোমুখি প্রকল্প যেমন- নানান রকম নতুন নতুন স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মী ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী, সাধারণ মানুষদের জন্য ও সাধারণ কৃষকদের জন্য আরো একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্যে প্রায় কম বেশি ৭০ টির মতো প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ জনসাধারণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে আবারো নতুন করে বিরাট বড় সুখবর চলে এলো রাজ্যবাসীর জন্য লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে। তাহলে চলুন রাজ্য সরকারের এই নতুন সুখবরটি জেনে নেওয়া যাক।
যে সমস্ত প্রার্থীর নাম লক্ষী ভান্ডারে রয়েছে এবং যারা টাকা পাচ্ছেন তাদের জন্য সুখবর সঙ্গে যারা নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি তাদের জন্য নতুন করে সুখবর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে লক্ষ্মী ভান্ডার নিয়ে জট কাটতে চলেছে এবং এই সুবিধা উপভোগ করতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মহিলা। গ্রাম থেকে শহর সমস্ত জায়গার মানুষ জন এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন এখন।
আমরা দেখতে পেয়েছি বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যে সরকারি চাকরিতে একের পর করচুপি ধরা পড়ছে শুধুমাত্র সরকারি চাকরি নয় লক্ষী ভান্ডারেও বিরাট বড় করচুপি সামনে এসেছে। এমন অনেক মহিলা রয়েছেন বিশেষ করে যারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত বা রাজ্য সরকারের জনমুখী তারা এক এক জন এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলাশাসক অফিস থেকে এই সমস্ত প্রকল্পের জালিয়াতি নিয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং যেখানে প্রচুর পরিমাণে অযোগ্য মহিলার করচুপি ধরা পড়েছে যারা প্রতি মাসে মাসে লক্ষী ভান্ডারের প্রচুর পরিমাণে টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। যেখানে সাধারণ এখনো এমন অনেক মানুষজন রয়েছে যারা লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। এবার থেকে যারা সঠিক তারা সকলেই এই প্রকল্পের টাকা পাবেন। এই সমস্ত ফেক ও ভুয়ো মহিলাদের চিহ্নিত করে তাদের একাউন্টে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হলো এবং যাদের সঠিকভাবে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাদের পুজোর আগেই টাকা একাউন্টে ঢুকে যাবে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আমরা দেখতে পেয়েছি বিগত মাস থেকেই রাজ্য সরকার তৎপর হয়েছেন এই সমস্ত কচুপির রুখতে এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তৈরি হয়েছে একটি স্পেশাল টিম যার মাধ্যমে ১২টি ভেরিফিকেশন করে যাচাই করা হচ্ছে। জানানো হয়েছে যারা করছো কি করে এবং ভুয়া ভাবে টাকা তুলেছেন তাদের সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে। এবার রাজ্য সরকারের সমস্ত যাচাই প্রক্রিয়ায় শেষ হয়েছে এবং সমস্ত মহিলাদের একাউন্টে আবারো ঘরে ঘরে টাকা পৌঁছে যাবে। তবে অযোগ্য মহিলাদের একাউন্টের টাকা বন্ধের মুখে।
ইতিমধ্যেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকের ব্যাক একাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে এবং যাদের একাউন্টে এখনো টাকা আসেনি খুব শীঘ্রই তাদের একাউন্টেও টাকা পৌঁছে যাবে এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে। তবে যদি কারো অ্যাকাউন্টে এখনো টাকা পৌঁছে না থাকে তাহলে পুজোর আগে সমস্ত একাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে এমনটাই জানানো হয়েছে।
তবে যাদের নাম এখনও লক্ষী ভান্ডারে নথিভুক্ত হয়নি বা যারা নতুন তাদের জন্য সুখবর চলে এলো। নতুন করে আবারো লক্ষী ভান্ডার এর নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন আপনারা এর জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী দুয়ারে সরকার প্রকল্প পর্যন্ত এবং পূজোর পরে আবারো নতুন করে দুয়ারে সরকার প্রকল্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে যারা ভুলভাবে টাকা পাচ্ছিলেন তাদের একাউন্টে এখনো টাকা যাবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না, পরবর্তী পেমেন্ট না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না। পরবর্তী পেমেন্ট হওয়ার পরেই বোঝা যাবে রাজ্য সরকার প্রকল্প কতটা ধরতে পেরেছে।