এমন কিছু পার্ট টাইম জবের ব্যাপারে আমরা আজ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা থেকে শুরু করে বেকার চাকরিপ্রার্থীরা সকলেই বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য শুধু একটা স্মার্টফোন/ট্যাবলেট/কম্পিউটার/ল্যাপটপ থাকলে আর তাতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই ব্যাস আর কোনো চিন্তার কারণ নেই। নিজের ফাঁকা টাইম কে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে দিনে দুই তিন ঘন্টা কাজ করে খুব সহজেই আপনি মাসে মাসে মোটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান যুগে প্রতিটি পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরাই চায় যে লেখাপড়ার ফাঁকে যে সময়টুকু বাঁচে তাকে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা পার্ট টাইম কাজ করে নিজের হাত খরচ ও লেখাপড়ার কিছুটা হলেও খরচ চালিয়ে নেওয়ার। তাতে একদিকে যেমন তাদের বাবা মায়ের কিছুটা দায়িত্ব কমবে অন্যদিকে তারাও একটু হলেও আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে।
তাছাড়া বর্তমানে চাকরির যা বাজার তাতে করে লেখাপড়া Complete হয়ে যাওয়ার পরেও যে চাকরির জন্য চেষ্টা করলেই চাকরি পাওয়া যাবে এমনটাও নিশ্চিত নয়। সরকারি চাকরির অবস্থা তো বেশ কিছু বছর ধরেই খারাপ করোনার পর থেকে বেসরকারি চাকরিতেও যেন মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই যতই ঝুলি ভর্তি ডিগ্ৰি থাকুক না কেন বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে চাকরি যে মিলবেই এমনটার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
কিন্তু সারা জীবন বেকার হয়ে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। লাখ লাখ টাকা না হোক অন্তত পক্ষে নিজের ভরণ পোষণের দায়িত্বটুকু তো নিজেকেই নিতে হবে। তা না হলে বাবা মায়ের অবর্তমানে সারাটা জীবন কে খাওয়া পড়ার দায়িত্ব নেবে। কিন্তু বর্তমানে টেকনোলজি যা উন্নত তাতে করে একটু বুদ্ধি খাটালেই খুব বেশী না হলেও বাড়িতে বসে নিজের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে কিছু পার্ট টাইম জব করে প্রতি মাসে মাসে কিছু পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। করোনার সময় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলি এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলিও তাদের কর্মীদের Work From Home এর সুবিধা দিয়েছে। যাতে সেই Pandemic Situation এ দাঁড়িয়ে কেউ বেকার না হয়ে পড়ে। সেই সময় থেকে শুরু করে বর্তমানেও বহু বড়ো বড়ো বেসরকারি কোম্পানি তাদের কাজের চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পার্ট টাইম Work From Home এর সুবিধা প্রদান করে চলেছে। যে গুলির মাধ্যমে আপনারা বাড়িতে বসেই নিজের বাড়তি সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে প্রতি মাসে মাসে ইনকাম করতে পারবেন। এই রকমেরই কিছু পার্ট টাইম জবের ব্যাপারে নীচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
অনলাইনের মাধ্যমে যে পার্ট টাইম জব গুলি করে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন তার মধ্যে কিছু উদাহরণ হল-
কনটেন্ট রাইটিং:-
এটি হল এমন এক ধরনের কাজ যার জন্য কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যে কোনো ভাষাতেই হোক সুন্দর করে ভালো ভাষায় গুছিয়ে লেখা লেখি করার দক্ষতা থাকলেই যে কোনো ছাত্র ছাত্রী বা বেকার যুবক যুবতীরা যে কোনো কোম্পানির হয়ে এই কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ টি করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি গুলি সোস্যাল মিডিয়া, ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে এই ধরনের কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করে থাকে। এই কাজ গুলি করে প্রতি মাসে ন্যুনতম ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন সকলেই।
ট্রান্স লেটার:-
বর্তমানে এমন বহু প্রাইভেট কোম্পানি আছে যারা বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পার্ট টাইম ট্রান্সলেটিং এর কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করে থাকে। এমন ধরনের বিজ্ঞাপন মাঝে মাঝেই সোসাল মিডিয়ায় দেখা যায়। তাই যদি কেউ অন্তত পক্ষে দুই ধরনের ভাষায় পারদর্শী হন তাহলেই তিনি বাড়িতে বসে পার্ট টাইম এই অনলাইন ট্রান্সলেটিং এর কাজ করে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর:-
আপনি যদি google এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে চেক করেন তাহলেই দেখবেন মাঝে মধ্যেই কোম্পানি গুলি পার্ট টাইম Work From Home ফেসিলিটি তে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করে। এখান থেকে আপনি যে কোনো একট কোম্পানিতে পার্ট টাইম ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি:-
কারোর যদি ফটোগ্ৰাফির সখ থাকে আর তার তোলা সেই ফটোর কোয়ালিটি যদি ভালো হয় তাহলে সেই ফটো অনলাইনে আপলোড করেও মাসে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে।
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং:-
এখনকার দিনে মানুষ দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র কেনার থেকে বাড়িতে বসে অনলাইন শপিং করতেই বেশি পছন্দ করেন। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি ফ্লিপকার্ট/ মিসো/অ্যামাজন ইত্যাদি থেকে সস্তায় জামাকাপড় সহ অন্যান্য জিনিস কিনে সেগুলির দাম কেনা দামের চেয়ে কিছুটা পরিমাণ বাড়িয়ে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে সেগুলিকে রিসেলিং করেও ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টিউশান পড়ানো:-
বরাবরই বহু মানুষ চাকরি না পেলেও প্রচুর সংখ্যক টিউশন পড়িয়েও প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এবং সেই রেওয়াজ এখনও চলে আসছে। বর্তমান যুগে তো আবার অনলাইনেও টিউশন পড়ানো শুরু হয়েছে। তাই এই পথকে অবলম্বন করেও মাসিক ইনকামের পথ প্রশস্ত করা যায়।