দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এলো সুখবর রাজ্যে কয়েক হাজার চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ করা হবে চুক্তিভিত্তিক ভাবে অস্থায়ী, পার্টটাইম, চুক্তিভিত্তিক ও অতিথি শিক্ষক। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং ইস্কুলে চাকরি করতে আগ্রহী তাদের জন্য অবশ্যই একটি বিশাল বড় একটি সুখবর। ইতিমধ্যেই এই সুখবরটি একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত করা হয়েছে এবং খুব সম্ভবত অতি দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেওয়া হবে। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করে আছেন তারা অবশ্যই এই সুখবরটি বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন নিচে চাকরি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল।
পদের নাম: এখানে মূলত অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক অতিথি এবং পার্ট-টাইম শিক্ষক নিয়োগ করা হবে ।
কবে নিয়োগ হবে?
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে 10 জুন যেদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে সেই দিনই এই শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে একটি বৈঠক হবে। এই শিক্ষক নিয়োগের যে বৈঠক হবে সেই বৈঠকে আলোচনায় বসবেন সংসদ সদস্যরা। এই বৈঠকে সংসদ সভাপতির চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি আরো বলেছেন ঐদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ তাই বৈঠকে কতটা সময় দিতে পারব তা নিয়ে আগে থেকে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
নিয়োগ এর উদ্দেশ্য: পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিন কোনো স্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি হাই স্কুল গুলোতে। অন্যদিকে প্রতিবছরের রাজ্যে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষকের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিটি স্কুলে। রাজ্যে 60 টির মত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা চলছে স্কুল গুলোতে। এত বিপুলসংখ্যক বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া হয়তো আর অন্য কোথাও নেই এমনটাই বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও। নতুন ধরনের বিষয় পড়ানোর জন্য রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নেই তাই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে।
এইসব শিক্ষকদের বেতন: রাজ্যের বর্তমান চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। যে সমস্ত অতিথি শিক্ষক রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ক্লাস পিছু টাকা পেয়ে থাকেন। আর পার্ট টাইম শিক্ষকদের বেতন গড়ে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
মোট শূন্যপদ: এখনো শূন্যপদের কথা জানা যায়নি তবে হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে যদি প্রতিটি স্কুলে একজন করে শিক্ষক নেওয়া হয় তাহলেও দেখা যাচ্ছে 7000 থেকে আট হাজার পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
এদিকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে প্রতিটি স্কুলে 125 জন করে ছাত্র থাকবে কিন্তু পরবর্তীকালে তা 275 হয় এবং বর্তমানে সেটি দাঁড়ায় 400 জন। এই বাড়তি পড়ুয়া দেহের অতিরিক্ত চাপে স্কুলের শিক্ষক শূন্যতা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না দীর্ঘদিন তাই এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছেন শিক্ষা সংসদ।
Source: বিশ্ব বার্তা