পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এরপর থেকেই বাংলায় বিভিন্ন প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলা আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প । অবশেষে কেন্দ্র সরকার এই সমস্ত প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করেছে এবং যার দরুন বাংলার ঘরে ঘরে চাকরি হবে এবার। নতুন বছরের শুরুতেই বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিরাট বড় কর্মসংস্থানের ঘোষণা করা হলো। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে(MGNREGA)প্রচুর পরিমাণে কর্মী নিয়োগ করা হবে রাজ্যে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে। অর্থাৎ বাংলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে এবার চাকরি হবে, বাংলার প্রতিটি ঘরে বেকার যুবক থাকলেই তারা এখানে চাকরি পাবেন। আর কেউ থাকবে না বেকার এমনটাই সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
কেন্দ্র সরকার নতুন করে টাকা দেওয়ার পরে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের হয়েছে এবং কেন্দ্র থেকে এই সমস্ত প্রকল্পের টাকা এসেছে কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় বিরাট বড় অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে অনেক জায়গায় এই কাজ না করেই পার্টির নেতা-মন্ত্রীরা টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। এছাড়াও ভুল নামে এবং ভুয়ো কার্ড দেখিয়ে বহু মানুষের একাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে তোর জোর এবং এই সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করতেই এবার বাংলার ঘরে ঘরে কর্মী নিয়োগের প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে।
এই সমস্ত অভিযোগ গুলো খাতিয়ে দেখার জন্যই মূলত ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ করা হবে এবং ১০০দিনের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তথ্য উপরে জানাতে হবে। বিশেষ করে অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতি দমনের জন্যই এই উদ্যোগ। মূলত এই সমস্ত কাজের জন্যই বাংলার ঘরে ঘরে কর্মী নিয়োগের তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে যেমন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরাও কাজের সন্ধান পাবেন এবং কর্মসংস্থান হবে অন্যদিকে দরিদ্র মধ্যবিত্ত মানুষদেরও কাজের সুযোগ হবে। যার দরুন বাংলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে হবে চাকরি ও কাজের সন্ধান।
তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবারই অভিযোগ তোলা হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যে কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে দিয়ে দিলেও পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। অবশেষে যদিও এই টাকা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া শুরু করেছে তবুও অনেকে এই তথ্য রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে যাই হোক 100 দিনের কাজের গতি বাড়াতে এবং বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসন্ধানের লক্ষ্যেই মূলত বিরাট বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নবান্ন থেকে। এই লক্ষ্য পূরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্যের পঞ্চায়েত কমিশনার জেলা শাসক কে জানিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় এবং প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ১০০ দিনের কাজের নজরদারি করার জন্য তৃতীয় ব্যক্তিবর্গ কে নিযুক্ত করা প্রয়োজন। যার দরুন বাংলার প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে হবে চাকরির সন্ধান। মূলত যারা যারা এখানে চাকরি পাবেন তাদের মূল কাজ হবে ১০০ দিনের কাজ কর্ম গুলো খাতিয়ে দেখা এবং কোন অভিযোগ থাকলে সেগুলো শুনতে হবে এবং সেগুলো উপর মহলে জানাতে হবে। বিশেষ করে এই কাজকর্ম ঠিকঠাকমতো পরিচালনা করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতদিন যে কাজ নেতা-মন্ত্রীরা করতো এবার সেই কাজের জন্য সরকারি কর্মী নিযুক্ত করা হবে।
রাজ্য সরকারের তরকে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার সমস্ত জায়গাতেই এই প্রকল্পের নজরদারি করার জন্য Ombudsperson নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। শুধু ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নয় এবার থেকে সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে। এবার থেকে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা আশাবাদী তাদের বেকারত্ব খুঁজবে এবং রাজ্যে প্রচুর কর্মসন্ধান হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যে প্রায় কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং তিনি অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে এই অনুমোদন এখনো দেওয়া হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দেওয়া হয় না। তবে যাই হোক রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে এবং বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থান হবে এবং এই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের নজরদারের জন্য নবান্নের তরফ থেকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে যার ফলে বেকারত্বের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পাবে রাজ্যে।