বিরাট বড় একটি সুখবর। পোস্ট অফিসের তরফ থেকে নতুন একটি স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে টাকা জমা দিলে দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাবেন আপনি। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সৃষ্ট জনপ্রিয় ও লাভজনক প্রকল্প কিষাণ বিকাশ পত্রের সঙ্গে আশা করি আপনারা সকলেই পরিচিত। বহু বছর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের বহু মানুষ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সুদে আসলে ডবল পরিমাণ টাকা ফেরত পেয়েছেন। যার ফলে তারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। তবে এই কিষাণ বিকাশ পত্র নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই এক দুর্দান্ত খুশির খবর ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা হল এই যে, আগে যেখানে এই কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা বিনিয়োগ করলে ১২৩ মাস পর বিনিয়োগ করা টাকা ডবল হতো সেখানে এবার থেকে ১২০ মাসে অর্থাৎ ৩ মাস আগেই বিনিয়োগ করা টাকা ডবল হয়ে যাবে। এছাড়াও আগে যেখানে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা টাকার উপর বার্ষিক ৭% হারে সুদ পাওয়া যেত এখন থেকে তার উপর আরও ০.২০% হারে সুদ বেশি অর্থাৎ মোট ৭.২০% হারে সুদ পাওয়া যাবে। ২০২৩ সালের ১ লা জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কিষাণ বিকাশ পত্রের এই নতুন নিয়ম চালু করেছে। সুতরাং এর পর থেকে যারা এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করবেন তারা সকলেই এই বাড়তি সুবিধা লাভ করবেন। তাই নিজের কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদে রেখে অধিক লাভবান হতে আজই কিষাণ বিকাশ পত্রে নিজের সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করুন। আর এই স্কিমের বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে আমাদের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। নিম্নে কিষাণ বিকাশ পত্রের আবেদন পদ্ধতি, সর্বনিম্ন বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ, তার থেকে প্রাপ্ত সুদের পরিমাণ ইত্যাদির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু যোগ্যতা:-
এই স্কিমের নাম শুনে হয়তো আপনাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে এই স্কিম শুধুমাত্র ভারতীয় কিষাণদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। এই স্কিমের সুবিধা শুধু মাত্র ভারতের কিষাণরা নয় বরং ভারতে বসবাসকারী সকল নাগরিকরাই পাবেন। এই স্কিমের সুবিধা পেতে হলে যা যা যোগ্যতা দরকার সেগুলি হল-
১) স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বিনিয়োগকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে।
২)তবে ১০ বছরের উর্ধ্বে যে সব বাচ্চারা আছে তাদের অভিভাবকেরা তাঁদের নিজেদের নামে তাঁদের সন্তানদের নমিনি হিসেবে রেখেও এই স্কিমের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
৩)আবার ১৮ বছরের উর্ধ্বে যারা তারা তিন জন একসাথে মিলেও এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
এই স্কিমে বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ ও তার থেকে প্রাপ্ত সুদ:-
এই কিষাণ বিকাশ পত্রে আপনি নুন্যতম ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে পরে যদি আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় তাহলে আপনি আরও বেশি পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন । এবং আরেকটি কথা বলা খুব জরুরি, এই স্কিমে আপনি যদি ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্যান কার্ড অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করতে হবে। মোটের উপর আপনি মোট যে পরিমাণ টাকা এই কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করবেন সেই দিন থেকে শুরু করে ১২০ মাস অর্থাৎ ১০ বছর পর ৭.২০% সুদের হারে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা ফেরত পাবেন।
কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা বিনিয়োগ করার পদ্ধতি:-
কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে আপনার নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর জেরক্স দিয়ে এই স্কিমের অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর থেকে আপনি আপনার নিজের সুবিধা মতো এখানে টাকা জমা দিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:-
এই কিষাণ বিকাশ পত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে যা যা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি দিতে হবে সেগুলি হল-
১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের জেরক্স।
২) প্যান কার্ডের জেরক্স।
৩) নুন্যতম ১০০০ টাকা। তবে যদি আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো হয় তাহলে আপনি আরও বেশি পরিমাণ টাকাও জমা রাখতে পারেন।
৪) অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নিজের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
অ্যাকাউন্ট খোলার শেষ তারিখ:-
এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার কোনো রকম শেষ সময় সীমা ধার্য্য করা হয়নি। একমাত্র রবিবার বাদে যে কোনো দিন আপনারা এই স্কিমের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তাই আপনারা যারা এই স্কিমের সুবিধা ভোগ করতে চান তারা আর দেরি না করে দ্রুত আপনাদের নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন এবং এই স্কিমের সুবিধা ভোগ করুন।