প্রত্যেকেই পাবেন ৪০,০০০ টাকা করে আর্থিক অনুদান, নতুন এই স্কলারশিপে আবেদন করলেই টাকা | New Scholarship Apply Now

 

ইতিমধ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আমাদের দেশের প্রত্যেক বেকার যুবক-যুবতীদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করতে বহু কর্মমুখী প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। তার ফলে বহু বেকার যুবক-যুবতী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এমনকি এই সব কর্মমুখী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বহু দরিদ্র পরিবার থেকে আসা বহু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন স্কলারশিপ দেওয়াও চালু করেছেন আমাদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। এই সব স্কলারশিপ প্রদানের ফলে সেই সব ছাত্র ছাত্রীরা যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন না তারা যত দূর পর্যন্ত মন চায় লেখাপড়া করে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। আর আজ এমনই এক নতুন সরকারি স্কলারশিপের বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। যার নাম হল জে কে লক্ষী বিদ্যা স্কলারশিপ। 

এই স্কলারশিপের বিশেষ দ্রষ্টব্য:- 

এই স্কলার শিপ সরকার প্রদত্ত অন্যান্য স্কলারশিপ গুলির থেকে একদমই আলাদা। এই স্কলার শিপের বিশেষত্ব হল এইটাই যে অন্যান্য সব স্কলারশিপ যেমন মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস করলে তবেই পাওয়া যায় এই স্কলারশিপ তেমন প্রকার নয়। এখানে পড়ুয়ারা চতুর্থ শ্রেণী পাস করে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। আর এর ফলে সেই সমস্ত পড়ুয়ারা যারা পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে মাধ্যমিক পাস করা তো দুরে থাক দশম শ্রেণী পর্যন্ত এগোতেই পারেন না তারা ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রত্যেক পঞ্চম শ্রেণী থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত অধ্যায়নরত পড়ুয়াদের বার্ষিক ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

এই স্কলারশিপের মাধ্যমে কাকে কত টাকা করে দেওয়া হবে?

১) এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া দের বার্ষিক ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

২) নবম থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ুয়াদের বার্ষিক ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

৩)উচ্চমাধ্যমিকের পর যারা কোনো ডিপ্লোমা কোর্স করছে তাদের বার্ষিক ১৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

৪) যারা গ্ৰাজুয়েশান লেভেলে লেখাপড়া করছে তাদের বার্ষিক ৩০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

৫) যারা স্নাতকোত্তর লেভেলে লেখাপড়া করছে তাদের বার্ষিক ৪০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কি?

এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে যে সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য সব যোগ্যতার প্রয়োজন সেগুলি হল-

১) আবেদনকারীকে অবশ্যই পঞ্চম শ্রেণী থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত যে কোনো ক্লাসে অধ্যায়নরত অবস্থায় থাকতে হবে।

২) আবেদনকারীকে অবশ্যই সে এখন যে ক্লাসে অধ্যায়নরত অবস্থায় রয়েছে তার আগের ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে থাকতে হবে।

৩) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা বা তার চেয়েও কম হতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি:- এই জে কে লক্ষী বিদ্যা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং সেই জন্য যা যা পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে সেগুলি হল-

১) প্রথমে আপনাকে এই স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

২) তারপর সেখানে আবেদনকারীর নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে একটি User Id ও Password দেওয়া হবে সেটি দিয়ে Login করলেই একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের ফর্ম আসবে সেখানে আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার, বয়স, ঠিকানা, আধার নম্বর, একটি বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে ফর্ম টিকে ফিলাপ করে ফেলতে হবে।

৪) এরপর আবেদনকারীর নিজের একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটো স্ক্যান করে ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করে দিতে হবে এবং সিগনেচারের জায়গায় একটি সিগনেচার স্ক্যান করে আপলোড করে দিতে হবে।

৫) সবশেষে আবেদনকারীর নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই অ্যাপ্লিকেশন হয়ে যাবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:- আবেদন করার সময় আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি যুক্ত করে সাবমিট করতে হবে সেগুলি হল-

১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড অথবা বার্থ সার্টিফিকেট স্ক্যান করা।

২) আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড স্ক্যান করা।

৩) আগের ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষার মার্কসীট স্ক্যান করা।

৪) পঞ্চায়েত প্রদত্ত পরিবারের বার্ষিক আয় সম্পর্কিত একটি ইনকাম সার্টিফিকেট স্ক্যান করা।

৫) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো স্ক্যান করা।

৬) আবেদনকারীর নিজের অথবা অভিভাবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতা স্ক্যান করা।

নির্বাচন পদ্ধতি:- আবেদন পত্র জমা পড়ার পর সেগুলি বিচার করে যারা যারা এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রাপ্য টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ:-এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার অফিসিয়াল পোর্টাল ইতিমধ্যেই খুলে গেছে এবং এই আবেদনের কোনো রুপ শেষ সময় সীমা নেই। প্রতি বছরই নতুন ক্লাসে উঠেই পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।


OFFICIAL NOTICE: CLICK HERE

Leave a Comment