বছরের শুরুতেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে দুর্দান্ত খুশির খবর, তাহলে কি বাড়তে চলেছে টাকার পরিমাণ? WB Lashmir Bhandar New Update

By bengalpravakar.com

Published on:

নতুন বছরের শুরুতেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আসতে চলেছে নয়া মোড়। সম্প্রতি নবান্নে সংঘটিত হওয়া এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে এক দুর্দান্ত খুশির খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কি সেই খুশির খবর? চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ কেটে গিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু এখনও রাজ্যের মা বোনেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছালো না লক্ষীর ভান্ডারের টাকা আর সেই নিয়েই বেশ কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন তারা। এমতাবস্থায় এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে কি খুশির খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি কিছুদিন আগে তিনি যে জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মা বোনেদের দেওয়া ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে এবারে কি সেটাই সত্যি হতে চলেছে? আর সেই কারণেই কি প্রায় মাসের মাঝামাঝি হয়ে যেতে চলল তাও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মা বোনেদের অ্যাকাউন্টে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা এসে পৌঁছালো না? কি সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? চিন্তা নেই আর অন্ধকারে থাকতে হবে না। একটু ধৈর্য ধরে আমাদের এই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলেই সব পরিষ্কার করে বুঝতে পারবেন। 

       ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী, খাদ্যসাথীর মতো একের পর এক বহু জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আর এইসব প্রকল্প গুলির সান্নিধ্যে এসে পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বিভিন্ন রকম ভাবে উপকৃত হয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে বলতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে তাদের সমাজে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করাই ছিল আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য।

       কিন্তু তিনি রাজ্যের মানুষের উপকার করার স্বার্থে তাদের ভালো রাখার স্বার্থে যতই নতুন নতুন প্রকল্প চালু করুন না কেন যতই অক্লান্ত পরিশ্রম করুন না কেন এগুলির বিনিময়ে তার কপালে সুনাম তো দূরে থাক উল্টে রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জুটছে অপমান ও বদনাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতারা প্রতিদিন প্রতিমূহুর্তে বলে চলেছেন যে আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নাকি রাজ্যের জনগণের জন্য এতসব কিছু করছেন শুধুমাত্র তার নিজের স্বার্থে। তিনি নাকি রাজ্যের মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট আদায় করার জন্য এই সমস্ত কিছু করছেন।

      কিন্তু নিন্দুকের কাজই তো সব সময় নিন্দা করা। তা সে আপনি যত ভালো কাজই করুন না কেন যার কাজ নিন্দা করা সে সব সময় নিন্দাই করবে। কিন্তু সারা জীবন তাদের কথা ধরে বসে থেকে জীবনে ভালো কাজ করা থেকে বিরত থাকলে তো আর চলবে না। আর ঠিক সেই কারনেই আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও বেশ কিছু নতুন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করে চলেছেন। আর সেগুলির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকল্পটি হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। 

        প্রতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ ১৫ তারিখের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মা বোনেদের অ্যাকাউন্টে যেমন লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ঢুকে যায় সেভাবে এবারেও সঠিক সময় মতোই ঢুকে যাবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। উপরন্তু এই প্রকল্পের বিষয়ে এই মাসেই আরও এক দুর্দান্ত খুশির খবর পেতে চলেছেন রাজ্যের মহিলারা। আর তা হল আগে পশ্চিমবঙ্গের বিবাহিতা ও অবিবাহিতা এবং স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারাই কেবলমাত্র এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতেন। আর বিধবা মহিলারা যেহেতু বিধবা ভাতার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে ভাতা পান তাই তারা এই প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত ছিলেন না। কিন্তু সম্প্রতি নবান্নে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে যে বৈঠক সংঘটিত হয়েছে সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সাফ জানিয়ে দেন যে এবার থেকে রাজ্যের অন্যান্য মহিলাদের মতো রাজ্যের বিধবা মহিলারাও বিধবা ভাতার দরুন যেমন মাসিক ৪০০ টাকা করে পান তেমন তো পাবেনই, তার সঙ্গে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের দরুনও জাতিগত অবস্থা অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০/১০০০ টাকা করে পাবেন। আর তার ফলে তাদের মোট প্রাপ্য ভাতার পরিমাণ হবে ৯০০/১৪০০ টাকা। 

      তবে রাজ্যের বিবাহিতা, অবিবাহিতা এবং স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারা যেমন এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০০/১০০০ টাকা করে পাচ্ছিলেন তেমনই পাবেন। রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ অনেকখানি শোচনীয় হওয়ার কারণে এই মূহুর্তে তাদের প্রাপ্য ভাতার পরিমাণ বাড়ানো রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তবে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেভাবে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তাতে করে এই ৫০০/১০০০ টাকাতে আর কত টুকুই বা কি হবে? তাই মুখ্যমন্ত্রী আপ্রান চেষ্টা করছেন যাতে যত শীঘ্র সম্ভব লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সকল মা বোনেদের দেওয়া ভাতার পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়ানো যায়। আশা করি খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে সুখবর মিলতে পারে।


More News: CLICK HERE


নিত্য নতুন এই ধরনের প্রকল্প সম্বন্ধীয় আরো বিস্তারিত খবরা খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হন।
TELRGRAM CHANNEL:  CLICK HERE

Leave a Comment