প্রাথমিকে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার দিন শেষ। আবারো হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে 5000 চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেয়েছি হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের 269 জন চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে আবারও নতুন করে 5000 জন চাকরিপ্রার্থীর হদিস মিলেছে যারা বেআইনিভাবে 2014 প্রাইমারি টেট চাকরি পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষা কর্মী যেমন গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদের ক্ষেত্রে প্রচুর ক্যান্ডিডেট বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ড এর তরফে।
ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে জানতে পেরেছে প্রাথমিক বোর্ডের প্রচুর পরিমাণে শিক্ষক হয়েছে যারা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে। এদের মধ্যে বেশকিছু জনের লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে এবং জানা গিয়েছে আরও নতুন করে 5000 জন চাকরিপ্রার্থীর হদিস মিলেছে। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে প্রাথমিক বোর্ডের তরফে নজরদারি চালানো হবে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এবং হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিপোর্ট পেশ করতে থাকতে হবে।
2014 সালের প্রাইমারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী 2015 সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং 2017 সালে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের হাতে যেখানে 2014 সালে প্রায় 20 লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন যার মধ্যে 42 হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে এই নিয়োগের মধ্যে 20% নিয়োগ হয়েছে বেআইনিভাবে।
পূর্বে এই নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা হয় যার পরিপ্রেক্ষিতে CBI তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্য সরকার এই মামলার মানতে না পারায় তারা ডিভিশন বেঞ্চে কাছে মামলা দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার বিরুদ্ধে সিবিআই অধিকারের নিয়ে এসআইটি গঠন করা হবে। বিচারপতি মনে করতেন সিবিআই এক সপ্তাহে যে কাজ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন 15 সপ্তাহ কেউ সেই কাজ করতে পারেনি তাই বিচারপতি এই নিয়োগের তদন্ত CBI এর উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে তাদের স্কুলে ঢোকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে জানানো হয়েছে এই 42 হাজার শিক্ষকদের মধ্যে আরও 20% চাকরি বেআইনিভাবে নিয়োগ রয়েছে এখনো। জানানো হয়েছে সঠিকভাবে তদন্ত হলে আরো 5 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এখনো তদন্ত চলছে এবং যার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার।