দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে আটকে আছে VRP কর্মীদের বেতন। করোনা মোকাবেলায় থেকে শুরু করে যে কোন কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে সব সময় VRP কর্মীরা আছে। করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সব থেকে বড় প্রকল্প দুয়ারে সরকারেও নানা কাজে নিযুক্ত ছিল এসব গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা দিনরাত এক করে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করেছে তাও সরকার তাদের দিকে নজর দিচ্ছে না। গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা জানিয়েছে তারা গত পাঁচ মাস ধরে তাদের সাম্মানিক ভাতা পায় নি, তবুও তারা নিজের কাজ নিজের পকেটের টাকা থেকেই করে চলছে। তাদের প্রাপ্য সাম্মানিক বেতন না পাওয়ায় তারা আজ অসহায় হয়ে পড়েছে, সংসার চালাতে অসমর্থ হয়ে পড়েছে। তাদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীন সম্পদ কর্মী দের জন্য কিছু ইতিবাচক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
VRP কর্মীরা জানিয়েছে তাদের মূলত সরকার নিযুক্ত করেছিল সোশ্যাল অডিট কাজের জন্য। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল পতঙ্গ বাহিত রোগ থেকে গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচার কাজে দায়িত্ব পালন করার জন্য। তাদের যে দৈনিক মজুরি ছিল সেটা ছিল 175 টাকা এবং মাসে 5000 250 টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে কিন্তু তারা সময় মত টাকা পাচ্ছে না গত পাঁচ মাস ধরে।
বিএনপি কর্মীরা জানিয়েছেন তারা টানা 30 দিন কাজ করে যাচ্ছেন। রবিবার তাদের কাজ করতে হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের একজন VRP কর্মী জানিয়েছেন তাদের যে পারিশ্রমিক দেয় তা কোন সরকারি স্কেলের মধ্যে পড়ে না। তাও তারা যে ন্যূনতম বেতন পাবে তাও প্রায় ছয় মাস ধরে পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জিনিসের দাম প্রতিদিন হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেও সরকার তাদের বেতন ঠিকমত দিচ্ছে না। এরপরেও দেখা যাচ্ছে কোন উৎসব অনুষ্ঠানে বিএনপি কর্মীদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে না, তাদের সারা বছরের কাজ করে যেতে হচ্ছে। নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন VRP কর্মীদের একটা সিস্টেমের মধ্যে এনে তাদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পুজো শেষ হয়ে গেল ডিএ টিএ বোনাস কিছুই পায়নি তারা।
সবশেষে ভিআরপি কর্মীদের একটাই দাবি এই স্বল্প টাকায় তাদের সংসার চালানো অসুবিধা হয়ে পড়ছে ,তাই সরকারের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে তাদের মাসে ন্যূনতম বেতন সহ কাজের নিশ্চয়তা করতে হবে এবং তাদের একটা সিস্টেমের মধ্যে এনে প্রতিমাসে বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।