পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রতিটি বেকার বিবাহিতা ও অবিবাহিতা মহিলাকে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই লক্ষীর ভান্ডার নামক একটি জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প চালু করেছেন। যার ফলে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত মহিলারা এই প্রকল্প থেকে প্রত্যেক মাসে মাসে যে ৫০০/১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন সেটা দিয়ে তারা অনেকেই বিভিন্ন রকম ছোটোখাটো ব্যাবসা করে ইতিমধ্যেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। আর এবার আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও একধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রতিটি গ্ৰামীন মহিলাকে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে একটি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি বিশেষ কর্মমুখী প্রশিক্ষন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্ৰামীন বিবাহিতা ও অবিবাহিতা মহিলাকে যে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষনই দেওয়া হবে তা নয়। যে সব মহিলারা প্রশিক্ষণ নেবেন তাদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার। এমনকি প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাদেরকে দিয়ে প্রশিক্ষণ ভিত্তিক যে সব কাজ করানো হবে তার জন্য তাদের টাকাও দেওয়া হবে। এবারে চলুন তাহলে এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কোন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কারা কারা প্রশিক্ষন নিতে পারবেন, কিভাবে আবেদন করতে হবে এই সব বিষয়ে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
কোন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং কোন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ দপ্তর রেশম খাদি ও পল্লী শিল্প সমিতির উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার গ্ৰামীন মহিলাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অম্বর চড়কার দ্বারা মসলিন সুতো কাটা থেকে শুরু করে বস্ত্র তৈরি করা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এবং এই প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাদের দিয়ে যে সুতোর লাচ্ছি গুলি কাটানো হবে তার দরুন তাদের প্রতি লাচ্ছি পিছু ৯ টাকা ৩০ পয়সা করে দেওয়া হবে। যার ফলে তারা একদিকে যেমন কাজ শিখতে পারবেন অন্যদিকে আবার অর্থ উপার্জন করারও সুযোগ পাবেন।
প্রশিক্ষণ নিতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
রাজ্য রেশম খাদি ও পল্লী শিল্প সমিতির উদ্যোগে যে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে হলে যে যে যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-
১) আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারী মহিলার নিজের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড থাকা আবশ্যিক ।
৩) আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ ভাবে বেকার হতে হবে।
৪) আবেদনকারী মহিলার পরিবারের বার্ষিক আয় কম হতে হবে।
কিভাবে আবেদন করতে হবে?
যে সব গ্ৰামীন মহিলারা এই প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক তারা নিজেদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ইনকাম সার্টিফিকেট,স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট সাইজের ফটো নিয়ে পঞ্চায়েত বা ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা করে এই প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানুন এবং আবেদন করুন।
আবেদন করার শেষ তারিখ:-
এই প্রশিক্ষণ দেওয়া গত ৭ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ৭ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই আর সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি আবেদন করে ফেলুন।