পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু নতুন প্রকল্প ১০ কোটি জনসাধারণ পাবেন টাকা ও অন্যান্য সুবিধা | WB Govt New Scheme

আগামী ১১ ই জানুয়ারি থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কার্যকরী হতে চলেছে আরও দুটি নতুন প্রকল্প। গত ২ রা জানুয়ারি নবান্নে সংঘটিত এক বৈঠকে এই প্রকল্প দুটির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন যে তার উদ্যোগে রাজ্যবাসীর কল্যানের স্বার্থে চালু করা ৭০ টিরো বেশি জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে বিশেষ ১৫ টি প্রকল্পের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এই দুটি প্রকল্পের সূচনা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই দুটি প্রকল্পের দুটি ভালো দিক রয়েছে। এরফলে একদিকে যেমন রাজ্যের সাধারণ মানুষ এইসব জনমুখী প্রকল্প গুলির সুবিধা ঠিকঠাক মতো পাচ্ছেন কিনা তার খবরাখবর সরকার পাবে অন্যদিকে বেশ কিছু বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে। এছাড়াও যে সমস্ত জনসাধারণের যে ধরনের সুবিধা প্রয়োজন সেগুলো পাওয়া যাবে এই সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে।

যদি কারো বাড়ি ঘরের সমস্যা থাকে তাহলে তাকে আবাস যোজনার আওতায় এনে আবাস যোজনার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও রাজ্যের আরও অন্যান্য যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তার আওতায় যে সমস্ত জনসাধারণের প্রয়োজন তাদের এনে এই জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

      মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হওয়া এই নতুন দুটি প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ ও দিদির দূত। গত ২ রা জানুয়ারি এই প্রকল্প দুটির বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মোট ১০ কোটি পরিবারের মধ্যে ২ কোটি পরিবার এই বিশেষ ১৫ টি প্রকল্পের সুবিধা ঠিকঠাক মতো লাভ করছেন কিনা তা নিশ্চিত হবে দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের মাধ্যমে। আর সারা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তৃনমূল সরকারের সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী যারা এই সমস্ত বিষয় গুলি দেখাশোনা করবেন অর্থাৎ যারা প্রতিটি রাজ্যবাসীর বাড়িতে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী হওয়া প্রকল্প গুলির সুবিধা তারা ঠিকঠাক মতো লাভ করছেন কিনা সেই বিষয় গুলি নিশ্চিত করবেন তাদের নামকরণ করা হয়েছে দিদির দূত নামে।

     এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দিদির দূত নামে একটি নতুন অ্যাপ ও তৈরি করা হয়েছে। আপনারা google play store  থেকে এই অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের এই দিদির দূত নামক অ্যাপটি তৈরি করার উদ্দেশ্য হল একটাই যাতে বাংলার সাধারণ মানুষ এই অ্যাপ থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা সমস্ত জনমুখী প্রকল্প গুলির বিষয়ে ভালোভাবে জেনে এই প্রকল্প গুলির জন্য আবেদন করতে পারে এবং নিজেরাই নিজেদের প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে পারে।

     এছাড়াও সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষদের মোট ৬ টি বিষয়ে ১৫ টি প্রকল্পের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হবে। আর সেগুলি হল-

প্রথমত, দিদির সুরক্ষা কবচ নামক নতুন এই প্রকল্পের অন্তর্গত প্রথম বিষয়টি হল সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত। যার মধ্যে রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার, বেকার ভাতা, বিধবা ভাতা, কৃষক বন্ধু ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, নতুন এই প্রকল্পের অন্তর্গত দ্বিতীয় বিষয়টি হল উপার্জন সম্পর্কিত। তার মধ্যে বিশেষ ভাবে রয়েছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তৈরি করা প্রকল্প যুবশ্রী প্রকল্প।

তৃতীয়ত, এই প্রকল্পের অন্তর্গত তৃতীয় বিষটি হল শিক্ষা সম্পর্কিত। যার মধ্যে রয়েছে ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের এর ন্যায় প্রকল্প গুলি।

চতুর্থত, দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত চতুর্থ বিষটি হল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত। যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

পঞ্চমত, এই প্রকল্প সম্পর্কিত পঞ্চম বিষয়টি হল আবাস যোজনা সম্পর্কিত। যার মধ্যে রয়েছে বাংলা আবাস যোজনা, নিজ গৃহ নিজ ভূমি জাতীয় স্কিম গুলি।

ষষ্ঠত, দিদির সুরক্ষা কবচ নামক প্রকল্পের একেবারে শেষ বিষয়টি হল জাতি সম্পর্কিত যার নাম দেওয়া হয়েছে জয় বাংলা। এই জয় বাংলার মধ্যে রয়েছে জয় জোহার ও তপশিলী বন্ধু নামক প্রকল্পটি।

      মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে আগামী ১১ ই জানুয়ারি এই নতুন প্রকল্পের শুভ সূচনা হবে। এবং সেই দিন থেকেই রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তৃনমূল সরকারের সাড়ে তিন লক্ষ কর্মী নিজ নিজ এলাকার নাগরিকদের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে তাদের সব সমস্যার কথা শুনবেন এবং দিদির সুরক্ষা কবচ নামক নতুন এই প্রকল্পের বিষয়ে তাদেরকে বিশদে বুঝিয়ে বলবেন। তার আগে আগামী ৮ ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় জেলায় তৃনমূল কার্যালয় গুলিতে কিটব্যাগ পাওয়া যাবে। এই কিটব্যাগে দিদির লেখা একটি চিঠি থাকবে। এবং সেই চিঠিতে এই দিদির সুরক্ষা কবচ নামক প্রকল্পটি কিভাবে পালন করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে লেখা থাকবে। যাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তৃনমূলের কর্মীরা এই প্রকল্পের বিষয়ে রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। সুতরাং এর থেকে এটাই স্পষ্ট প্রমানিত হয় যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু জনদরদী ই নন তিনি যথেষ্ট কর্তব্য পরায়ন ও বটে।