৭ দিনের মধ্যেই বিরাট বড় সুখবর আসতে চলেছে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য



স্কুল সার্ভিস কমিশনকে চরম ভৎসনা করে অপদার্থ বলে ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। যেসব অধিকারিকরা এই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পরিচালনা করছেন তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে এই কমিশনকে খারিজ করে দেওয়া উচিত। আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেই তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি । সঙ্গে দিলীপ ঘোষ এই কমিশন ও নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন ও বলেন কমিশন ও নেতা-মন্ত্রীরা একত্রিত হয়ে টাকা কমানোর জন্যই এই কাজ শুরু করেছে তাই এইসব নেতা-মন্ত্রীদের ঘেরাও করে টাকা উসুল করতে হবে।

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি উঠল কমিশনের বিরুদ্ধে। অবশেষে হাইকোর্ট আগামী 7 দিনের মধ্যে মেধাতালিকা স্বচ্ছতা রেখে আবারও নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । আগামী শুক্রবার এর পরবর্তী শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে নাম্বার সহ নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে  তাহলেই হাইকোর্টের তরফ থেকে  স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় মেধা তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের নাম ও নাম্বার সহ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে কমিশনের উপর আজ তীব্র চাপ সৃষ্টি করে কমিশনকে প্রশ্ন তোলা হয় - 2019 এর অক্টোবর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কমিশন তা মেনে মানে নি কেন ? এবং কেন নির্দেশ মেনে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু এই শিক্ষক নিয়োগের কার্য প্রক্রিয়া চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশনের ভুলভ্রান্তির জন্য আবারো হাই কোর্টে কেস পড়ে যায় এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় বাতিলের উপক্রম। এই মুহূর্তে আজ কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।আজ এই মামলার শুনানি ছিল কিন্তু বোর্ডের তরফ থেকে কেউ হাজির ছিলেন না এরপর দুপুর দুটোর মধ্যে এসএসসির চেয়ারম্যান কে হাজির হতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টে।

কমিশন যে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করেছিল সেটি ছিল ভুলে ভরা কারণ এখানে অনেকেই কম নাম্বার পেয়ে যায় চান্স পেয়েছে আবার অনেকে এর আগের লিস্ট এ জায়গা পেয়েছিল নাম্বারও বেশি কিন্তু তারা এ বছরেই লিস্টে জায়গা পায়নি। তাই সকলে একজোট হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে কেস করেছিল এবং কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট আজ যেকথা বলল তাতে মনে হচ্ছে খুব দ্রুতই এবং স্বচ্ছ ভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


 



Tags

Below Post Ad