কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন স্কিমে মাত্র ৫৫ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পান | Govt New Pension Scheme


২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করার পর থেকেই আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের জনগণের মঙ্গলার্থে বিশেষ করে আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষক শ্রেনীর মঙ্গলার্থে যেসব প্রকল্প গুলি চালু করেছেন সেগুলির অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। ভারতের দরিদ্র কৃষক শ্রেনীর জন্য তার চালু করা প্রকল্প গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কৃষক সন্মান বিধি। যার মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে বছরে তিনটি ধাপে ২০০০ টাকা করে অর্থাৎ এক বছরে মোট ৬০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়াও রয়েছে স্বল্প সুদের কৃষি ঋন প্রকল্প, যার মাধ্যমে আমাদের দেশের প্রতিটি দরিদ্র কৃষককে বার্ষিক অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ সুদে চাষ বাসের কাজের সুবিধার জন্য আমাদের দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুলির মাধ্যমে ঋন দেওয়া হয়। 


       আর এবার আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর এক ধাপ এগিয়ে দেশের দরিদ্র কৃষক শ্রেনীর ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য হল এইটাই যে আমাদের দেশের দরিদ্র শ্রেণীর কৃষকরা যাদের উপার্জনের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে তারা সংসার চালিয়ে আর ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে রাখার সুযোগ পান না তারা যাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়া মাত্রই প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে সরকারি পেনশন পেতে পারেন। যা দিয়ে তারা তাদের বার্ধক্য জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন। এবারে তাহলে এই মানধন যোজনার বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।


প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনার সুবিধা:-

আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চালু করা এই প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র কৃষক শ্রেনীর মানুষদের তাদের নিকটবর্তী যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত  ব্যাঙ্কে গিয়ে এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে হবে। এর উপরে সরকারও প্রতি মাসে তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০০ টাকা করে জমা করবে। এরপর যখন সেই কৃষকদের ৬০ বছর বয়স হবে তখন থেকে তাদের আর মাসে মাসে ব্যাঙ্কে কোনো টাকা জমা দিতে হবে না উল্টে তারা তখন প্রতি মাসে মাসে ৩০০০ টাকা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পেনশন পাবেন। এরপর যখন সেই কৃষক মারা যাবেন তখন তার স্ত্রী প্রতি মাসে সেই কৃষকের প্রাপ্য টাকার অর্ধেক অর্থাৎ ১৫০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। এরপর যখন তার স্ত্রীও মারা যাবেন তখন তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া মোট টাকা তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।


প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনার সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:-

এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর যে সব যোগ্যতা গুলি থাকা অত্যন্ত জরুরি সেগুলি হল-

১) আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন কমপক্ষে ২ হেক্টর চাষযোগ্য জমির মালিক হতে হবে এবং সেই সঙ্গে তাকে সেই জমিতে চাষ আবাদের কাজও করে থাকতে হবে।

২) আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন স্থায়ী ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

৩) আবেদনকারী কৃষকের বয়স অবশ্যই ১৮-৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে ‌।

৪) আবেদনকারী কৃষকের নিজের আধার কার্ড থাকাটা আবশ্যিক।

৫) আবেদনকারী কৃষকের নিজের নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

৬) আবেদনকারী কৃষক যদি কৃষক সন্মান নিধির সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে তাকে আর আলাদা করে আবেদন করতে হবে না এক্ষেত্রে তিনি আপনা আপনিই এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত হয়ে যাবেন।


আবেদন করার পদ্ধতি:-

প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারী কৃষককে তার নিকটবর্তী যে কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ইনকাম সার্টিফিকেট, স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট এবং জমির দলিলের এক কপি করে জেরক্স দিয়ে এই মানধন যোজনার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর প্রতি মাসে ৫৫-২০০ টাকা করে জমা রাখতে হবে। এরপর সমস্ত ডকুমেন্টস গুলি কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে জমা পড়ার পর সেগুলি বিচার করে যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তাদের ৬০ বছর বয়স হওয়া মাত্রই প্রতি মাসে তাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সরকারের তরফ থেকে  ৩০০০ টাকা করে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।


আবেদন করার সময় সীমা:-

প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই আবেদনের কোনো রুপ শেষ সময় সীমা নেই। আবেদনকারীরা তাদের সময় সুযোগ মতো যেদিন ইচ্ছা আবেদন করতে পারবেন।

MORE JOB NEWS: CLICK HERE

চাকরির সম্বন্ধীয় আরো বিস্তারিত খবরা খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হন।

TELRGRAM CHANNEL:  CLICK HERE

Below Post Ad