দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে শূন্যপদের ঘাটতি দেখা গিয়েছে স্কুলগুলোতে। এমতাবস্তায় রাজ্যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক শুন্য পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে 42 হাজার 132 শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে আছেন এবং শিক্ষক হতে চান তারা বিস্তারিতভাবে এই সুখবরটি জেনে নিতে পারেন। নিচে চাকরি সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল যে গুলো ভালো করে জেনে নেবেন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে 42 হাজার 132 শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অর্থ দপ্তরের কাছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অর্থ মঞ্জুর করার দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রের হাতে এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য তরফ থেকে। জানানো হয়েছে প্রতিটি স্কুলে একজন করে এই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সরকারি হিসাব অনুযায়ী জানানো হয়েছে রাজ্যে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও HS স্কুল মিলিয়ে মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা রয়েছে 63 হাজার 727 টি। অন্যদিকে সমগ্র রাজ্যে বিশেষ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা রয়েছে 1 লাখ 36 হাজার 400 জন। হিসেব অনুযায়ী প্রত্যেকটি ইস্কুলে কমপক্ষে দুজন করে বিশেষ শিক্ষক প্রয়োজন। এর সঙ্গেই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে সব মিলিয়ে প্রায় কর্মরত রয়েছে 24,637 জন শিক্ষক এবং 19 হাজার 725 জন শিক্ষা কর্মীকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যত শিক্ষক রয়েছে সেই অনুযায়ী রাজ্যের প্রায় 42 হাজার বিশেষ শিক্ষকের প্রয়োজন।
এজন্য জানা গিয়েছে সমগ্র রাজ্যজুড়ে প্রায় 42 হাজার স্থায়ী Special Educator পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অর্থ দপ্তরের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই শিক্ষক নিয়োগের জন্য মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে এবং জানা গিয়েছে 19 জুলাই শুনানি রয়েছে এবং এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। বিশেষ করে এখানে মূক এবং বধির অথবা অন্য ধরনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলগুলোতে স্পেশাল এডুকেটর থাকার কথা।