আবারো সরকারি কর্মীদের জন্য গঠন হচ্ছে নতুন করে পে কমিশন। বাড়তে চলেছে সরকারি কর্মীদের ভাতা ও বেতনের পরিমাণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে অষ্টম পেয়ে কমিশন গঠনের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আবারো গঠন হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের অষ্টম পে কমিশন যার ফলে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে প্রচুর। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে নতুন যে পে কমিশন গঠন করা হবে তাতে সরকারি কর্মীদের জন্য সরকারের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।
কবে দেওয়া হবে বকেয়া DA?
নয়া পে কমিশন গঠন হলে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে ঠিকই কিন্তু সরকারি কর্মীরা তাদের বকেয়া ডিএ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কোভিদ চলাকালীন সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে বন্ধ ছিল তারা সেই দিয়ে জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে নতুন পে কমিশন গঠন হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বকেয়া ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে এই ইস্যু নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী কোনফেডারেশন।
কোভিদ চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের কোষাগরের উপর প্রেসার পড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মীদের ডিএ তিন কিস্তি অর্থাৎ আঠারো মাসের ভাতা বাদ রেখেছিল। ২০২০ সালের দুটি এবং ২০২১ সালে একটি কিস্তি বাকি ছিল। এবং তাদের সঠিক প্রতি দেওয়া হয়েছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সকলকে তাদের বকেয়া ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে কিন্তু এখনো সরকারি কর্মীদের বকেয়া ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। এবার সরকারি কর্মীদের ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া যে ভাতা রয়েছে সে সমস্ত কিছু মিটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবছর সরকারি কর্মীদের জন্য মহার্ঘভতা বৃদ্ধ করা হয়। চলতি বছরেও আবারো নতুন করে সরকারি কর্মীদের জন্য ভাতা বৃদ্ধি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে আবারো নতুন করে পে কমিশন গঠন করা হবে এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যেরকম উপকৃত হবে ঠিক তেমনি উপকৃত হবে কেন্দ্র সরকারি কর্মীরাও। সকলেরই বেতন ও ভাতা দুটোই বৃদ্ধি পাবে। ফলে বর্তমানে সরকারি কর্মীরা যে পরিমাণে বেতন পায় তার থেকে অনেক বেশি টাকা বেতন পাবে।
সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সরকারি কর্মীরা তাদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেছে এখন দেখার বিষয় সরকার কবে সরকারি কর্মীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের টাকা মিটিয়ে দেয়। সরকার যদি ওই তিন দফার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটিয়া না দেয় তাহলে লাভবান হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। প্রত্যেকবার যদি কম হলেও ৩ শতাংশ করেও মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হতো তাহলে ৯-১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত চাপ পড়ত মোদী সরকারের উপর। ওই বকেয়া ডিএ না দেওয়া হলে কেন্দ্রের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।